দ্বিতীয় বর্ষ ✦ প্রথম সংখ্যা
অবাক পৃথিবী - কোলাখাম।
দেবার্ঘ্য
দাস
আজকাল
দৈনন্দিন ব্যস্ততায় আর বিগত দু'বছরে কোভিডের হানায়
বাইরে যাওয়া সেইভাবে সম্ভবপর
হয়নি। যাযাবরের
আবার ঘরের ঠিকানা! তাই
ঘরবন্দি মনের খোরাক বলতে
বিভিন্ন ট্রাভেল ব্লগিং আর নিজের
এতদিনকার ঘুরতে যাওয়ার স্মৃতি
রোমন্থন। কলেজ
জীবন থেকেই 'যাযাবর' তকমা
গায়ে জামার মতোই পড়ে
নিয়েছিলাম। শহরের
দৈনন্দিন রোজনামচায় হাঁপিয়ে ওঠার আগেই বেরিয়ে
যেতাম এদিক সেদিক যেদিকে
দু'চোখ যায়।
পকেট সদাই গড়ের মাঠ
কিন্তু তাতে ঘুরতে যাওয়ার
কিসসা-কাহিনিতে ভাঁটা আসেনি কখনো।
এই কিছুদিন আগেও একটা প্ল্যান
হয়েছিল কিন্তু হঠাৎ কোভিডের
উর্ধমুখি গ্রাফে প্ল্যানটাকে বাতিল
করলাম।
বিষাদ
সাগরে ভেসে ভেসে মোবাইলের
গ্যালারির পাতা উলটে পালটে
দেখতে দেখতে চোখ আটকে
গেল। যাযাবর
মন তখন ফিরে গেছে
বছর পাঁচেক আগের ডিসেম্বর
মাসে।-
সেদিন
ছিলো ডিসেম্বরের আঠাশ কিংবা উনত্রিশ। কয়েকজন
বন্ধুরা মিলে ট্রেনে উঠে
পড়েছি শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি। তারপরের
গন্তব্য তখনও জানিনা।
প্রত্যেকেবারের মতো সেইবারের ঘুরতে
যাওয়াটাও ছিলো আকস্মিক এবং
অনিবার্য! এনার্জি সবারই হাই কিন্তু
কোথায় যাবো সেই ব্যাপারে
কারোরই তেমন প্ল্যানিং নেই। শুধু
আপামর বাঙালির ঘরের কাছে পাহাড়ের
গেটওয়ে এন.জি.পি.
আমদের কাছেও তাই এই
স্টেশন ছিল প্রাথমিক গন্তব্য। শুধু
ট্রেনে ওঠার আগে আমি
আর আকাশ খান পাঁচেক
জায়গা দেখে নিয়েছিলাম, তারমধ্যে
কোলাখাম আর দার্জিলিং ছিল
কমন যা পরে টের
পেয়েছিলাম।

শিয়ালদহ
থেকে রাতের দার্জিলিং মেল
ধরে পরদিন নিউ জলপাইগুড়িতে
নামলাম তখন সকাল ৮টা। স্টেষনে
ফ্রেশ হয়ে চলে এলাম
এস.এন.টি. বাস
স্টান্ডে, এখানে শেয়ারে দার্জিলিং
গ্যাংটকের গাড়ি পাওয়া যায়। চাইলে
গাড়ি বুক করেও যেতে
পারেন। অটো
থেকে নামতেই রাকা জিজ্ঞেস
করলো কোথায় যাওয়া হচ্ছে? আকাশ
আর আমি একসাথেই উত্তর
দিলাম 'কোলাখাম।' বলে
এগিয়ে গেলাম স্ট্যান্ডের দিকে। দরাদরি
করে গাড়ি বুক করে
ফেললাম। যেতে
হবে ১০৭ কি.মি.।
সময় লাগবে চার-সাড়ে
চার ঘন্টার মতো।
লাগেজ গুলো গাড়ির মাথায়
চড়িয়ে শুরু হলো আমাদের
কোলাখাম জার্নি। আপাতত
এই অবধি থাকুক, শুধু
শুধু আমাদের পাগলামির বর্ণনায়িত
(নস্ট্যালজিয়াও বলা যেতে পারে)লেখা দিয়ে সময়
নষ্ট না করে আসুন
পরিচয় দেওয়া যাক কোলখামের।

কালিম্পং
এর একটি ছোট্ট গ্রাম
কোলাখাম। মাত্র
৬০টি ঘরের বসতির বাস
এই অবাক পৃথিবীতে।
নেওড়া ভ্যালি জঙ্গলের মধ্যে
শান্ত এই গ্রামখানি প্রকৃতি
প্রেমীদের কাছে স্বর্গরাজ্য।
শুধু পর্যটকদের কাছে নয় গবেষকদের
কাছেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। কম
বেশি আড়াশো প্রজাতির পাখি,
হরেক রকম প্রজাপতি, দুষ্প্রাপ্য ক্যাকটাস আর দুর্লভ অর্কিড
(যার মধ্যে তিনশো বছরেরও
পুরনো অর্কিড রয়েছে) লেপার্ড,
বন্য শূকর, ভালুক, রেড পান্ডা আরো
কত কী.. তার সঙ্গে
রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা! আকাশ যদি পরিষ্কার
থাকে তাহলে আপনি পেয়ে
যাবেন কাঞ্চনের অবিস্মরণীয় রূপ। বুঝি
এখনি হাত বাড়ালেই আপনি
তালুবন্দি করতে পারবেন।
ছয়-সাত কিমির মধ্যে
পেয়ে যাবেন ছাঙ্গে ফলস;
অনেকে আবার লাভা রিষপ
যাওয়া বা ফেরার পথে
হল্ট দিয়ে যান কোলাখামে। কেউ যদি লাটাগুড়ি বা
মুর্তির থেকে একদিনের জন্য
ডে-আউটিং করতে চান
তাও সম্ভব।
প্রধানত
'হল্ট' বা ভিউ পয়েন্ট
হিসেবেই কোলাখামের পরিচিতি ছিলো বেশি।
কিন্তু পর্যটকদের অফবিট রূটের তালিকায়
কোলাখামের পাকাপাকি বন্দোবস্ত হতে দেরি হয়নি। প্রাকৃতিক
পরিবেশ, কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহময়ী রূপ, আর
সর্বোপরি এখানকার সহজ সরল মানুষদের
আতিথেয়তা। খাবারের
মান আর স্বাদও দারুণ।
ট্রাফিকের কোলাহল, ব্যস্ততার যাপন থেকে যদি
দু-তিন দিনের বিশ্রামের
অবসর কাটানোর যথার্থ জায়গা।
কোনো তাড়াহুড়ো নেই, জানলা দিয়েই
দেখে নিতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার
রক্তিম শীর্ষটা। ভোরবেলা
ঘুম থেকে উঠেই এই
দৃশ্যের শোভা অক্ষর দিয়ে
বর্ণনা করা যায় না। সেই
রাস্তার ক্যাফেতেই মিলবে ছোট্ট ক্যাফে
সেখানকার কফি আর মোমোর
স্বাদে আপনি কাটিয়ে দিতে
পারেন অনেকটা সময়।
অলসতার
চাদরে মুড়ে জড়িয়ে কাটিয়ে
দিতে পারেন আবার ট্রেকারদের
জন্য রয়েছে ছোটো ছোটো
কিন্তু বেশ রোমাঞ্চকর ট্রেকিং। কোলাখাম
থেকে চাইলে আপনি ঘুরে
আসতে পারেন লাভা, রিষপ,
লোলেগাঁও।
কালিম্পং
দিয়ে আসলে ফেরার সময়
গরুবাথান হয়েও ফিরতে পারেন। হাতে
সময় থাকলে দেখে নিতে
পারেন, চেল নদী, মনাস্টেরি,
ডাম ডিং চা বাগান
এবং অন্যান্য জায়াগাও। কোলাখাম
আপনি সারা বছরই যেতে
পারেন, তবু
অক্টোবর থেকে মার্চ এপ্রিল
মাস অবধি সেরা সময়
হিসেবে ধরা যেতে পারে।
শহুরে
জংগল থেকে বিরাম নেওয়ার
জন্য এখনি বেরিয়ে যান
কোলাখামের উদ্দেশ্যে।
প্রথম বর্ষ ✦ পঞ্চম সংখ্যা
অনু
তিনটি ভ্রমণ ^ কাহিনী
শান্ত সমাহিত শতাব্দী প্রাচীন সন্যাসীর মত দেখায় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে পেলিং থেকে।
আর ষটচক্রের সহস্রারের মত পেলিংয়ের মাথায় ধ্যান মগ্ন হয়ে অবস্থান করে পেমিয়াংশি
মনাস্ট্রি। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের ১১০
কি.মি. পশ্চিমে ছোট শান্ত একটি গ্রাম পেলিং। ভোরবেলার সূর্যের রক্তিম আভা মেখে মৈনাক
সর্দার সদ্য ঘুম ভাঙ্গা চোখে চেয়ে থাকেন, সেই চোখে চোখ রেখে যে কেউ হারিয়ে যাবে।
সেই আলো সবুজ উপত্যকা চুঁইয়ে নিচে নেমে ধুয়ে দেয় এই বিশ্ব চরাচরকে। পূর্ণিমা রাতে
চাঁদের মখমলী আলোতে মুকুট সাজিয়ে তুষাররাজ সিংহাসনে আসীন হন। এছাড়া অদূরে পাইন, গুরাসের
বনবিতানে মন হারাতেই হয়। রিম্বি নদী, খেচিপেরি লেক, পেলিং হেলিপ্যাড, স্কাইওয়াক দেখে
রওনা দেওয়া পেমিয়াংশির পথে। পেমিয়াংশি মনাস্ট্রি যাওয়ার রাস্তা বেশ খাড়া। পথের
দুপাশে সাদা প্রার্থনার পতাকা উড়ছে হাওয়ায়। খাড়াই ঘোরানো পাহাড়ি পথ ধরে পেলিং
থেকে ৩ কিমি দূরে পাহাড়ের একেবারে মাথায় অবস্থিত সিকিমের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বৌদ্ধ গুম্ফা
‘পেমিয়াংশি মনাস্ট্রি’। ১৭০৫ সালে সিকিমের তৃতীয় ছোগিয়াল চাগদর নামগিয়াল এই গুম্ফাটি
তৈরি করেন। গুম্ফার মূল কক্ষের আয়তন ১৫০০ বর্গফুট। বারান্দা আর কক্ষের সব জায়গায়
রঙিন ধর্মীয় শিল্প কর্মের ছড়াছড়ি, আঁকা আছে বিভিন্ন জাতক কাহিনী। গুরু পদ্ম সম্ভব
ছাড়াও অন্যান্য অনেক দেবমূর্তি অধিষ্ঠান করছেন। এই গুম্ফাটির দোতলায় যাওয়ার সিড়িতে
জীবনের পাঠ পাওয়া যায়, সিড়ির ধাপে লেখা আছে "Hatred, Desire,
Delusion"। অর্থাৎ ঘৃনা, আকাঙ্ক্ষা আর মায়া-মোহ পায়ের তলায় রেখে তবেই উপরে
ওঠা যায়, আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে হয়। বৌদ্ধ লামাদের উপাসনা কক্ষ থেকে
শোনা যাচ্ছে মেঘ মন্দ্র কণ্ঠের মন্ত্র পাঠ যা ওই ঘরের নিস্তব্ধতাকে আরো গাঢ় করে তুলছে
-"ওম মনি পদ্মে হুম্"। তিব্বতি কারুকাজময়
তিনতলা বিশাল মনাস্ট্রিতে রয়েছে মিউজিয়াম। ১৭০৫ সালে এর নির্মাণ হয়। ভিতরে রয়েছে গুরু
পদ্মসম্ভব বা রিনপোচের মূর্তি। এছাড়াও মিউজিয়ামে আছে অনেক প্রাচীন মূর্তি, চিত্র, বৌদ্ধ
ধর্মের নানান গ্রন্থ, নথি ও নানান তিব্বতী ভাস্কর্য্য এবং এই মনাস্ট্রির পুরনো কাঠামো
এবং প্রাচীন কালের ব্যবহৃত সামগ্রী। সেই জীবন্ত ইতিহাসের সামনে দাড়িয়ে এক শিরশিরে
অনুভূতি হবেই। তিব্বতীয় ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দ্বাদশ মাসের ২৮ ও ২৯ তারিখ গুম্ফাতে
অনুষ্ঠিত হয় দ্রাগমার ছাম উৎসব। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ফেব্রুয়ারি মাসে এই উৎসবের
আসর বসে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন লামাদের মুখোশ নৃত্যের সাক্ষী হতে। এই মনাষ্ট্রির সামনের এরিনা থেকে দেখা যায় তুষার
চূড়ার অবিস্মরণীয় রূপ যা পথের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতে পারে নিমেষে। সেই বিশাল প্রকৃতির
সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের পরমাণু সদৃশ দুঃখ কষ্ট আলোক বিন্দুর মত মিলিয়ে যায় সেই বিশালতায়।
মনের সচ্চিদানন্দের আসল স্বরূপ আর কোথাও এমন করে উপলব্ধি করা যায়না মনে হয়। আবহমান
জগতের নিত্যযাত্রী আমাদের বারবার ফিরে ফিরে যেতে হয় সেই দুয়ারে একটু শান্তি, একটু
আলোর খোঁজে। কিছু স্যুভেনির সংগ্রহ করে ফেরার
সময়েও মনে জলছবি মত আঁকা হয়ে থাকে পেমীয়াংশির নির্বাক শব্দময় রূপ ।
সুষমা, এক কাপ চা, আর...
গৌরীপ্রসাদ নন্দ
কিছু মানুষ ও তাদের ভালবাসা প্রকৃতির সাথে মিলে মিশে থাকে... আলাপ হলে মনে
হয় বেঁচে থাকার ইচ্ছেরা সব অপার্থিব সুখের স্পর্শ লাভ করল... নেওরা ভ্যালি জাতীয় উদ্যানে
সবুজ গালিচা পাতা পাহাড়ের কোলে হাতে গোনা কয়েকটি ছোট্ট ছোট্ট বাড়ী নিয়ে পাহাড়ী গ্রাম
কোলাখাম...প্রতিটি বাড়ী তার নিজস্ব ছন্দে স্বপ্ন সাজিয়ে রেখেছে...সে সব স্বপ্নে স্বাচ্ছন্দ্য নেই, অকৃত্রিম সুখ আর আনন্দ আছে...এরকম ই একটি ছোট্ট
আস্তানার পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে চোখে পড়ল ভেতরে সাজানো গোছানো বসার বন্দোবস্ত...
গুটি গুটি পায়ে ঢুকে পড়লাম... গরম গরম চা এর সাথে আলাপ হল আস্তানার মালকিন সুষমা রাই
এর সাথে...১৮ বছরেই অসুস্থ বাবা মা আর পুরো সংসারের দ্বায়িত্ব তার কাঁধে...খোলা জানালার
ধারে খোলা মনে আড্ডা দিলাম অনেকক্ষণ... আমার কোলাখাম থাকার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র দু
দিনের... এই সীমিত সময়ে নানা বাহানায় ( কখনো চা তো কখনো মোমো বা অন্য কিছু) বার বার
সময় চুরি করেছি সুষমার... স্বপ্ন দেখবো বলে............।
দেবানন্দপুর ভ্রমণ
ঈশান কর্মকার
তীব্র গরম, যাই যাচ্ছি করে তিন বন্ধু অবশেষে বেরিয়ে পড়লাম। শহরের ব্যস্ততা
কোলাহল ধুলোবালি থেকে কিছুটা দূরে কলকাতা থেকে কয়েক ঘণ্টার ট্রিপ, হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রাম যেখানে জন্মেছিলেন
কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। আম জাম নারকেল গাছ ঘেরা পুকুর, শীতল ছায়া,
মেঠো পথ, ভগ্ন মন্দির যেন সাহিত্য থেকে উঠে আসা নিস্তরঙ্গ শান্ত পল্লী প্রকৃতির এক
টুকরো ছবি। যদিও সেই অর্থে গ্রাম এখন আর বলা যায় না।
শরৎচন্দ্রের পৈত্রিক বাড়ির পাশাপাশি একটি মিউজিয়াম আছে। সেখানে সংরক্ষিত
আছে লেখক এর ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস, উপন্যাসের পান্ডুলিপি ও চিঠিপত্র। বাংলা সাহিত্যের
দুই ক্লাসিক পথের দাবী ও শ্রীকান্তর প্রায় ১০০ বছর আগের মলিন হয়ে যাওয়া লেখকের নিজের
হাতে লেখা পান্ডুলিপি চোখের সামনে দেখা এক রোমাঞ্চকর ব্যাপার। যে 'লালু' গল্প ছোটোবেলায়
পড়ে আনন্দ পেয়েছি সেই গল্পের খসড়া, রবীন্দ্রনাথ সহ বহু বিখ্যাত ব্যক্তিদের লেখা শরৎচন্দ্রের
চিঠিপত্র দেখা এক দারুন অভিজ্ঞতা। জানা যায় শ্রীকান্ত উপন্যাসের কাহিনীর কিছুটা এই
গ্রামকে কেন্দ্র করেই লেখা। তবে শুধু শরৎচন্দ্র নয়, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে দেবানন্দপুর গ্রামের আরো একটি গুরুত্ব আছে। এই গ্রামেই কবিগুনাকর ভারত চন্দ্র রায় পার্সি ভাষা অধ্যয়ন করেন ও ১১৩৪ সালে প্রথম বাংলা কবিতা লেখেন।
কিভাবে যাবেন: গাড়িতে গেলে কল্যাণী এক্সপ্রেস ওয়ে বা দিল্লী রোড ধরে ব্যান্ডেল মোড় (আদিসপ্তগ্রাম এর নিকটে), সেখান থেকে ৩-৪ কিঃমিঃ ভেতরে। ট্রেনে গেলে নামতে হবে ব্যান্ডেল স্টেশনে, সেখান থেকে টোটো ধরে দেবানন্দপুর গ্রাম।
Previous Issues (Travelo) :
উৎসবের দিনে আপনার এই সুন্দর লেখাটি চোখে পড়লো । ভাগ্যিস । নইলে এক অসামান্য সুন্দর গ্রাম অজানাই থেকে যেত । অপূর্ব ছবি গুলো বারবার করে দেখছি
ReplyDelete